জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, “শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি। তেমনটি হলে বিগত ১৬ বছরে সবাই একসাথে রাজপথে নেমে যেত।”
রোববার রাতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এই মানুষগুলো একসাথে নেমেছিল, যখন সিস্টেম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল।”
সারজিস আলম জানান, সাধারণ মানুষ তখন এমন পরিস্থিতিতে ছিল যে তাদের সেবা পাওয়ার জন্য দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতা সিস্টেমের বিরুদ্ধে একসাথে রাজপথে নেমেছিল।
সারজিস আলম আরও বলেন, “১৬ বছরে রাজনৈতিকভাবে যে সমাধান হওয়া উচিত ছিল, তা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে হয়েছে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা বলছি না যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিন, চার বা পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে, তবে ছয় মাসের মতো অযৌক্তিক কোনো সময়সীমা হতে পারে না। ১০০ দিনের মধ্যে যে প্রত্যাশা ছিল তা পূরণ হয়নি, তবে রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করলে সরকারের অবস্থা আরও ভালো হতে পারত।”
তিনি আরও বলেন, “বাজারে গিয়ে সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারে না। বাজার সিন্ডিকেটগুলোর হাত বদল হয়েছে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবদুল হামিদ খান ভাসানীর দৌহিত্র মাহমুদুল হক সানু, সময়ন্বয়ক মো. মাহিম সরকার, টাঙ্গাইলের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল আমিন, মো. কামরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়াম প্রমুখ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।